আমরা অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য কাজ শিখেছি। অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে কাজ শিখেছি আবার অনেকে বিভিন্ন বাংলা টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমেও কাজ শিখেছি। কিন্তু যারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফ্রীল্যান্সিং বা অনলাইনে কাজ করার জন্য কাজ শিখে থাকেন তাদের মধ্যে অনেককেই বলতে শুনা যায় যে, আমি তো খালি বিডই করে যাচ্ছি কিন্তু কাজ তো পাচ্ছি না। আবার একই জায়গা থেকে কাজ শিখে কেউ কেউ ১-২ সপ্তাহের মধ্যেই কাজ পেয়ে যান। আবার নতুনদের মধ্যে অনেকেই কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বলে থাকেন, এখন আর নতুনরা নাকি কাজ পায় না।
কিন্তু বাস্তবতাটা কি?
নতুনদের মধ্যে কাজ না পাওয়ার হতাশা যতখানি রয়েছে তার থেকে কয়েক গুন বেশি হতাশা দেখা যায় ক্লাইন্টদের মধ্যে। আপনি কাজ না পেয়ে যতটা না বেশি হতাশ তার থেকে অনেক গুণ বেশি হতাশ এই মার্কেটপ্লেস গুলোর ক্লাইন্ট, কারন তারা দক্ষ কর্মী খুজে পায় না। কথাটা হয়ত আজব মনে হবে কিন্তু এটাই বাস্তবতা এবং এর সাক্ষী আমি নিজে। এই কিছুদিন আগেই একটা একটু ব্যতিক্রমধর্মী এক কাজের জন্য ওয়ার্কার খুজতে গিয়ে আমি ৩ বার ফ্রীল্যান্সার.কম এ জব পোস্ট করি, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ১ জন উপযুক্ত লোক ও খুজে পাই নি কাজের জন্য। তাহলে এখন আপনি কিভাবে বলবেন যে, মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ পাওয়া যায় না?
তাহলে কি করব?
প্রথেমেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি কতটুকু শিখেছেন? কত দিন ধরে চেস্টা করেছেন? একটু ভাবুন তো, বাস্তব জীবনে ২০-২৫ হাজার টাকার একটা চাকরী করার জন্য আমরা ২০-৩০ বছর বইয়ের বোঝা বহন করে দিন রাত পরিশ্রম করেও শেষমেশ ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তায় ভূগি, আর তাহলে ইন্টারনেট থেকে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আর করার জন্য আপনি কি ৬ মাস কস্ট করতে প্রস্তুত নন? এখন আবার অনেকেই হাসবেন, যে, মাত্র ৬ মাসে ৫০ হাজার টাকা মাসে আয় করব? এইটা কি ছেলে খেলা নাকি, কিন্তু এটাই সত্য। আপনি যদি ৬ মাস ভাল করে পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ৬ মাস পরে আপনি মাসে ৫০ হাজার+ আয় করতে পারবেন। তাহলে এবার ভাবুন, আপনি কি নিজেকে ওই রকম দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন?
আপনাদের কিছু মানসিকতা এবং আমাদের কিছু অভিজ্ঞতাঃ
আইটি বাড়ি এর বদৌলতে,আমাদের থেকে যারা ডিভিডি কিনে কাজ শিখে থাকেন তাদের সম্পর্কে আমাদের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেগুলোর কয়েকটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি যে প্রবণতাটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে, অল্প শিখে বেশি আয় করার চিন্তা। আমাদের যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই আমাদের থেকে টিউটোরিয়াল ডিভিডি কেনার পরে ৫-১০ দিনের মধ্যে আমাদের সম্পূর্ণ ডিভিডি টি দেখে শেষ করে ফেলে এবং ডিভিডি দেখা শেষ হলেই তারা মনে করে থাকে যে, কাজ শিখে ফেলেছি, এবার শুধু বিড করব আর কাজ করব এবং মাস শেষে হাজার হাজার ডলার গুনব। কিন্তু অবশেষে ফল হয় শূন্য। না জানার কারনে ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটে কাজই পায় না। আর তখন, সকল দোষ হয় আমাদের,তখন তারা বলে থাকে, আমাদের ডিভিডি দেখে কিছুই শিখতে পারে নাই, অনলাইনে কাজ করা যায় না, এখানে কাজ পাওয়া যায় না, এটা ভূয়া এই ধরনের আরও অনেক কিছু। তবে আমাদের যারা ফ্রীল্যান্সিং শিখিয়ে থাকি তাদের জন্য এটা সান্তনার যে, এটা শুধু আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, দেশের সকল ফ্রীল্যান্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কপালেই এই ধরনের অপবাদ জোটে।
নতুনদের মধ্যে থাকা আরও একটু ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে,কোন সমস্যা হলে সেটার উত্তর নিজে নিজে না খোজার চেস্টা করা। আমাদের একটি সহজ অভ্যাস রয়েছে, যেখানে আমরা দুর্বল পাই, সেখানেই আঘাত করতে পছন্দ করি। কোন একজন ভাল শিক্ষক পেয়েছি কিনা, কোন ছোট খাট সমস্যা হলেও তার কাছেই জিজ্ঞেস করি। কারন, তিনি তো হেল্প করেন। কিন্তু এমনটা করার কারনেই আমরা কিছু শিখতে পারি না। নিজের সমস্যার সমাধান যদি নিজে বের করার মানসিকতা তৈরি না হয় তাহলে কোন দিনই উপরে উঠা সম্ভব নয়। আর কারও শরণাপন্ন কেবল তখনি হবেন যখন আপনি আপনার সমস্যার সমাধান অনেক চেস্টার পরেও পাবেন না। গুগলকে ব্যবহার করতে শিখুন সমস্যা সমাধানের জন্য, দেখবেন জীবন বদলে যাবে।
এইগুলা গেল অনেক বেসিক লেভেল, এইবার চলুন দেখি যারা বিড করে যাচ্ছেন কিন্তু কাজ পাচ্ছেন না কেন?
ফ্রীল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ঢোকার আগে প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনাকে দক্ষ হতে হবে। আপনি যে সেক্টরেই কাজ করুন না কেন, সেই সেক্টরে মিনিমাম ৫ টি সফল প্রোজেক্ট সম্পন্ন করেই তবে ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করার চিন্তা করবেন। এখন আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন, নতুন অবস্থায় ৫ টি প্রজেক্ট করার জন্য কাজ পাব কোথায়? এটার ও ব্যবস্থা আছে, আপনি লোকাল কারও কাজ করুন, অথবা নিজে নিজেই কয়েকটি প্রোজেক্ট বানিয়ে সেটাতে কাজ করুন। যেমন ধরুন- আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখবেন, তাহলে আগে ৫টি ওয়েব সাইট তৈরি করুন, কারন এই ৫ টি প্রোজেক্ট আপনাকে মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে সাহায্য করবে। এই ক্ষেত্রে যদি লোকাল মার্কেটে কাজ করতে চান, তাহলে আমাদের সাজেশন হচ্ছে, আশেপাশে কোন কোম্পানীতে ফ্রীতে কাজ করে দিন, ইন্টার্নি করতে পারেন। এছাড়াও ফেসবুকে প্রায়ই লোকাল ওয়ার্কার চেয়ে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করা হয়, সেখান থেকে কাজ করতে পারেন। প্রথম কাজগুলোর জন্য পেমেন্ট আশা করবেন না, প্রথমে কাজ শেখার দিকে নজর দিন।
এবার আসা যাক বিড কিভাবে করবেন সেটার উপর?
মার্কেট প্লেসে কাজ পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে একটু সাজানো গোছানো ছোট্ট এবং চমৎকার কভার লেটার। কারন, আপনি যখন কোন কাজে বিড করবেন তখন ক্লাইন্ট সর্বপ্রথম আপনার বিডের কভার লেটার টাই দেখবেন। আর তাই কভার লেটার হওয়া উচিত মান সম্মত। এখন, এখানেও আমাদের সমস্যা আছে। আমাকে এই পর্যন্ত অনেকেই ইমেইল এবং ফেসবুকে মেসেজ পাঠিয়েছেন, কভার লেটার এর নমুনার জন্য। কিন্তু ভাই, আমি আপনাকে বলছি, এই ধরনের মুখস্থ কভার লেটার লিখে কাজ পাবেন না। সেই দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কভার লেটার অবশ্যই নিজের হাতে লিখবেন এবং কভার লেটারে শুধু তাই লিখবেন যেটা ক্লাইন্ট জানতে চেয়েছেন। কারন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্লাইন্ট তার কাজের সাথে কোন প্রশ্ন যুক্ত করে দেয়, যেমন-
- What part of this project most appeal to you?
- What question do you have about the project?
- What three things do you plan to implement to make the company’s marketing strategy effective?
এই ধরনের প্রশ্ন দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান, ভেবেই পান না কি লিখবেন এর উত্তরে? কিন্তু আপনি কি জানেন, কাজ পাওয়ার জন্য এই প্রশ্ন গুলোই সবচাইতে বড় সহায়ক, এগুলোই হচ্ছে লক্ষভেদের উপায়? এই গুলোর উত্তর যদি সঠিকভাবে দিতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ৯৫% বেড়ে যায়। কারন এই প্রশ্ন গুলোর মাধ্যমে আপনি ক্লাইন্টকে ওই প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেন। আর হ্যা, অবশ্যই অবশ্যই কভার লেটার এবং প্রশ্ন গুলোর উত্তর এমনভাবে দেয়ার চেস্টা করবেন যাতে করে ক্লাইন্ট সেটাতে ইন্টারেস্ট ফিল করে, ক্লাইন্টের মনে যেন এমন ভাবনা আসে যে হ্যা, আপনি কিছু জানেন। আপনাকে দিয়ে কাজটা হবে। যদি ক্লাইন্টের মনে এমন ভাবনা জাগাতে পারেন তাহলেই আপনি সার্থক। সব সময় মাথায় রাখবেন, এমন কাজে বিড করবেন না যেটা আপনি পারেন না, শুধুমাত্র সেই কাজ গুলোতেই বিড করবেন যেটা আপনি পারবেন এবং আপনি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। আর ক্লাইন্টের সাথে সব সময় ওপেন ভাবে কথা বলুন, এত স্যার স্যার করার কিছুই নেই, এখানে আপনার আর ক্লাইন্টের সম্পর্ক হচ্ছে টাকার সম্পর্ক, সেখানে এত স্যার বলে ডাকার কিছু নেই, আপনি কাজ পারেন ব্যাস করে দিবেন। তাই ক্ল্যাইন্টের সাথে ফ্রেন্ডলী এবং ভাল সম্পর্ক স্থাপনের চেস্টা করুন। শুরুতেই ক্লাইন্টকে বোঝানোর চেস্টা করুন আপনিই তার কাজের জন্য পারফেক্ট এবং আপনি ক্লাইন্টের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করে দিতে পারবেন।
আরও একটি সমস্যাঃ
আমাদের আরও একটি সমস্যা হচ্ছে, ধৈর্য্য না থাকা। আমরা মনে করি ২-৩ টা বিড করেই কাজ পেয়ে যাব। কিন্তু আপনি কি নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখেছেন, ক্লাইন্ট যে আপনাকে কাজটি দিবে তার জন্য আপনি নিজে কতটা পারফেক্ট? আমাকে কিছুদিন আগেই এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছি, ভাইয়া আমি ১ মাস ধরে বিড করে যাচ্ছি কিন্তু কাজ পাচ্ছি না। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি কাজ শিখেছেন? উনি বলল, আমি আপনার এসইও ডিভিডি দেখে কাজ শিখেছি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি প্র্যাক্টিস করেছেন? তিনি বললেন হ্যা করেছি। আমি বললাম কোন ওয়েবসাইটে প্র্যাক্টিস করেছেন? তিনি বলল, আপনার ভিডিও তো দেখেছি, সেখানের সব ই তো সোজা, আমি সব বুঝেছি, আর ক্লাইন্ট কে দেখানোর জন্য আপনি তো কিছু ওয়ার্কপ্রুফ তৈরি করে দেখিয়েছেন ই, ক্লাইন্ট চাইলে সেটা দিয়ে দিব।
এবার বুঝুন, টিউটোরিয়াল দেখে সব বুঝেছেন আর তাই তিনি প্র্যাক্টিস ও করেন নাই, এমনকি ক্লাইন্ট আগের কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে আমাদের এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল এ যে কাজের নমুনা আছে সেটা দিয়ে দিবেন, এমন অবস্থায় উনি নিজেকে ভাবছেন উনি এসইও শিখে গেছেন এবং কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করবেন? আপনার কি মনে হয়, ক্লাইন্টরা এতই কি বোকা?
এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে, ভাল কোন টিউটোরিয়াল দেখলে, বা ভাল কোন বই পড়লে আমরা এত বেশী উৎসাহিত হয়ে পরি যে, আমরা মনে করি সব করে ফেলব। ওভার-কনফিডেন্স চলে আসে আমাদের মধ্যে। তবে, প্রোফেশনাল লেভেল এই ধরনের দিব-স্বপ্ন পুরোপুরি ভেল্যুলেস। তাই, প্র্যাক্টিস করুন, ফ্রী প্রোজেক্ট করুন। কনফিডেন্স অনুন নিজের ভেতরে, ওভার কনফিডেন্স নয়।
আমাদের আরও কিছু সমস্যাঃ
আমাদের আরও সমস্যা হচ্ছে, শোনা কথায় বিশ্বাস করা কিন্তু নিজে যাচাই না করা। আমরা যার মুখ থেকে যেটা শুনি সেটাই বিশ্বাস করি, কেউ হয়ত বলল যে অনলাইনে অমুক কাজ বিড করলেই পাওয়া যায়, তমুক কাজের ভাত নেই, তমুক কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, এই ধরনের আজে বাজে কথায় আমরা সহজেই বিশ্বাস করি কিন্তু বাস্তবতা যাচাই করি না। এর প্রধান কারন হচ্ছে, আমরা কস্ট করতে পছন্দ করি না, লোকের মুখ থেকে শোনা বিভিন্ন কথার মধ্যে যেটা সবচাইতে সহজ এবং সহজে টাকা কামানো যাবে আমরা সেটাই করতে পছন্দ করি। কিন্তু মনে রাখবেন , সহজ বলতে কোন কথা নেই, আবার কঠিন বলতেও কোন কথা নেই, একটাই কথা- সেটা হচ্ছে পরিশ্রম। পরিশ্রম ছাড়া আপনার বা আমার চেহারাখানি যতই সুন্দর হোক না কেন, কেউ এক টাকাও দিয়ে যাবে না।
আশা করি আজকের কথা গুলো কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। সব কথা বড় কথা, দুই একবার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে গেলেন মানে এই নয় যে আপনি পারবেন না। যদি পরিশ্রম করার মানসিকতা না থাকে তাহলে কোন দিনই সফল হতে পারবেন না। পরিশ্রম করলে সবই সম্ভব। আমি ওইটা পারি না, সেইটা বুঝি না, এই সমস্যা, সেই সমস্যা এই গুলা সব ফালতু বিষয়, এই গুলা যতদিন বাদ দিতে না পারবেন ততদিন কিচ্ছু হবে না। কেউই সব কিছু পেরে দুনিয়াতে আসে না, বিল গেটস তার মায়ের পেটে বসে সফটওয়্যার বানানো শেখে নাই, তাকে পরিশ্রম করেই শিখতে হয়েছে, এবং তিনি পেরেছেন বলেই আজ বিশ্বের সেরা ধনী। অনেকেই তো বলে থাকে সৎ পথে ধনী হওয়া যায় না, কিন্তু তাহলে বিল গেটস তো সঠিক পথেই পৃথিবীর সেরা ধনী হলেন কিভাবে? তিনি আর কারো টাকা চুরি করেন নাই, এটা সম্ভব হয়েছে তার পরিশ্রম এর জন্য। আর তাই আপনিও যদি কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকেও পরিশ্রম করতে হবে। এর বিকল্প কিছুই নেই। যদি কমপক্ষে ৬ মাস নিজেকে পরিশ্রম করানোর মত সাহস এবং সংযম করতে পারেন তাহলেই সফল হতে পারবেন অথবা, দুনিয়া এগিয়ে যাবে কিন্তু আপনি পেছনেই পড়ে থাকবেন আর শুধু ভাববেন অমুক ভাই ফ্রীল্যান্সিং করে মাসে ৫ লাখ টাকা আয় করে কিন্তু আমি পারিনা। এই ভাবনার শেষ কোনদিনই হবে না। টাকার জন্য না শিখে জ্ঞানের জন্য শিখুন, শেখার সময় টাকার কথা ভুলে যান, ৬ মাস পর দেখবেন টাকা আপনার পেছনে দৌড়াবে। শুধু এটা বিশ্বাস করুন- “আমি পারব এবং অবশ্যই পারব” , আমরাও চাই যেন আমরা পারি, পারতেই হবে, লাল সবুজের দেশ বেকারমুক্ত, কম্পিউটার স্বাক্ষর হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। চলুন তাহলে আজ থেকেই শুরু করা যাক ? . . .
লিখাটি সম্পর্কে আপনার যে কোন মতামত কমেন্টে করতে পারেন। আর সময় থাকলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন এখানে ক্লিক করে।
এছাড়াও, অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ শেখার জন্য আমাদের কিছু বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
33 Responses
অনেক ভালো লাগলো ভাই পড়ে। ধন্যবাদ এত সুন্দর আর পরামর্শমুলক একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আমিও কাজের চেষ্টায় আছি। কাজের জন্য বিড করার সময় নিজে কয়েকটা বিষয় খুজে বের করতে পেরেছি এবং কয়েকটা ট্রিক নিজে থেকে বের করেছি যা প্রয়োগ করে আমি গত মাসে একটা কাজেও বিড না করেও ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজের ইনভাইটেশন পেয়েছি।
ইনশাআল্লাহ্ এ বিষয়ে কিছুদিনের মধ্যে গ্রুপে একটা পোস্ট দেবো।
ধন্যবাদ 🙂
ekhon kon maddhome online e kajta korte parbo? website ta ki?
অনেক সাইট আছে, http://www.upwork.com, http://www.freelancer.com ইত্যাদি, আরও বিস্তারিত জানতে আপনি এই পোস্ট পড়তে পারেন- https://www.itbari.com/complete-online-earning-guideline-for-beginner/
I want
আমি আপনার মত হতে চাই। এর কোন টিউটোরিয়াল আছ?? আপনার টিউটোরিয়াল গুলি কিনেছি রকমারি থেকে।এখন অনশীলন এ আছি।
kader vai ami koyek din theke apnr SEO tutorial dekhtesi and shikhtesi bt vai ami bujhtesi na j kun web-site ba kun jaygay ami jegulo shikhsi shegulo prectice korbo ?? Thank you !
ডিভিডি ০৩ এর শেষ অংশে কিভাবে সাইট করে প্র্যাক্টিস করবেন সেটি দেখানো আছে, সে অনুযায়ী প্র্যাক্টিস করতে পারবেন।
Nije nije project banabo kivabe?#kader vai
ডিভিডি তে ফ্রীতে সাইট এবং ব্লগ করা দেখানো আছে, সেভাবে করে সেখানে এসইও আপ্লাই করবেন, মোট কথা প্র্যাক্টিস করতে হবে এবং সেই প্র্যাক্টিস ফাইল গুলোই প্রজেক্ট হিসেবে দেখাতে পারেন, অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য
Abdul kader vi, at first apnake onek onek thnx. ami apnar theke web design er CD kinesi & tutorials dekhe koyekti design koresi. Apnar dekhano tutorials dekhe free domain & hosting niyechi but filezila theke ta upload korte parchi na/ connect hocche na. pls ektu reply diben.
ফ্রী হোস্টিং এ মাঝে মাঝে সমস্যা করে, আপনি আমাদের কাছ থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্যবহার করতে পারেন, ইমেইল করুন- [email protected]
Vaia nije nije project kivabe banabo?
আমি গতকাল এসইও এর ডিভিডি নিলাম । অসাধারণ ।
আপনার সাইটে এডসেন্স কিভাবে লাগালেন একটু বলবেন ??
Kader vai, koiti dvd kinla ami seo sikta parbo? Bostarito bolban?????
এসইও শেখার জন্য আমাদের এই টিউটোরিয়ালটি দেখুন- https://www.itbari.com/what-are-in-our-complete-seo-bangla-tutorial/
kivabec ami kaj..pabo…payment method set kivabe korbo bolben plz
বিস্তারিত জানতে এই ভিডিও টিউটোরিয়াল টি দেখুন- https://www.itbari.com/upwork-bangla-tutorial/
Dear,
With many thanks to you. I am interested in dataentry jobs.
Thanks
vai I respect you.apni ink valomanus comment na Kore thakte parlamna.ami fiverr a kaj Kore.but Ami freeluncer a kaj korte CIO but exam dite patina.amk aktu help korben pls.
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, হেল্প জন্য আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করতে পারেন
আমি আপনাদের ভিডিও দেখে backlink, on page oftimization, off page oftimization শিখে ফেলেছি কিন্তু প্রোফাইল তৈরি করতে পারতেছি না সম্পূর্ণভাবে একাটর জন্য কি করব। pls help
প্রোফাইল কমপ্লিট করার জন্য এই ভিডিও দেখুন- https://www.itbari.com/upwork-bangla-tutorial/
কাদের সাহেব,
শুভেচ্ছা নেবেন। আশা করি ভাল আছেন। আপনার পোস্টগুলো হৃদয়গ্রাহী। আগ্রহ নিয়ে অনেকদিন পড়েছি। আপনার ওয়েব সাইটে আপনার তৈরী বাংলা টিউটোরিয়ালের সিডি সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছেন ফ্রিতে 20 টিউটোরিয়াল দেখে নেয়ার জন্য। আমি আপনার ওয়েব ডিজাইন শেখার 20টি ভিডিও দেখেছি। ওগুলো দেখে দেখে প্র্যাকটিস করছি। এ পর্যন্ত 9 টি টিউটোরিয়াল প্র্যাকটিস করেছি। 20টি ভিডিওতে ওয়েব ডিজাইন শেখার পূর্ণ লেসন নেই। আমি বুঝতে পেরেছি ওগুলো কিনতে হবে। যদি আমি ওয়েব ডিজাইন, এসইও এবং ওয়ার্ড প্রেস এই টিউটোরিয়াল সিডিগুলি এক সাথে অর্ডার করি তাহলে কিছু কম হবে কি না? আপনার সাথে মোবাাইলে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমার মেইলে আমার মোবাইল নাম্বারটি দিলে বাধিত হব। ধন্যবাদ
আপনি এই ইমেইলে মেইল করুন- [email protected]
কাদের সাহেব,
শুভেচ্ছা। খুব ভালো লাগলো। এত দ্রুত সাধারণত কেউ কমেন্টের প্রতিক্রিয়া বা উত্তর দেন না। বিশেষ করে যারা আপনার মত ব্যস্ত এবং গুণি মানুষ। আপনি অনেক উন্নতি করবেন। আশা করি মানবতাবোধ বিসর্জন দিয়ে নয়। হাজার বছর বেঁচে থেকে মানুষ বিশেষ করে বাংলাভাষীদের জন্য অবদান রাখুন মহান আল্লাহতায়ালার কাছে এই প্রার্থনা করছি। ভালো থাকবেন।
আমীন
hi brother .. অনেক খুন ধরে পরলাম । ভাই এই বিষয় এ কনো টিউটোরিয়াল নেই । থাকলে নাম টা বলুন এন্ড দাম টা … এলিফেন্ট রোড এ মাল্টি প্লান এ দকান এর নাম টা বলুন plz
ভাই, আপনি আপওয়ার্কের টিউটোরিয়ালটা দেখতে পারেন, অনেকটাই কাজে আসবে,
ভাইয়া আমার কাছে SEO এর আই টি বাড়ির যে ডি ভি ডি আছে সেটা 2015 সালের প্রথম এর দিকের। আমি কাজ শিখে কাজ করতে চাই ঠিকই কিন্তু আমি আগে কাজটা ভালভাবে শিখতে চাই। তাই ভাইয়া একটু কষ্ট করে বলবেন আপনার SEO আপডেট ডিভিডি লাষ্ট কোন মাসের দিকে করেছেন। আমি সেই ডিভিডি টাও কালেক্ট করতে চাই। আর হ্যা ভাইয়া আর একটা কথা আমি কিন্তু আপনার অনেক বড় ভক্ত।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। দোয়া করি অনেক ভাল থাকবেন।
আজকের তারিখ পর্যন্ত এই বছরের শেষভাবে আপডেট করা হয়েছে, এসইও এর আপডেট টিউটোরিয়াল এ ৩ টি ডিভিডি থাকবে
সত্যি অসাধারন লিখেছেন।।।।
ভাই আমি নতুন হিসেবে একটা কথা বলতে চাই ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিত দেখবেন, আমি আপনাদের ইন্টারনেট-আর্নিং এর লেখাগুলো মাঝে মাঝে পড়ি । অনেক সময় স্বপ্ন দেখি আমিও হয়তো কাজগুলো করব । কষ্ট, পরিশ্রম, ধর্য্য, চর্চা, রহস্যভেদ করার অভ্যাস, কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ স্বীকার (বিষেশ করে ভাল কিছু পেতে ফ্রিতে কিছু করে দেয়ার কৌশল) গরীব ঘরের সন্তান হিসেবে সবই আছে কিন্তু আমার একটাই কথা পন্ডশ্রম করতে আমি রাজি নই । আমি ঐ কাজগুলো করতে রাজি নই যাতে করে আমার নিজের, পরিবারের, সমাজের কারোরই কোন উপকারে আসবে না । সর্বপরি, যাতে অর্থনৈতিক উন্নতির ছোঁয়া নেই, সে কাজগুলো আমার একদম অপছন্দ কারন অর্থ ছাড়া ধর্ম, পরিবার, সমাজ, জীবন এমনকি ভালোবাসাও অচল । আমি গুগলে সার্চদিয়ে প্রায় কয়েক ডজন লেখা দেখেছি এমনকি ইউটিউবেও অনেক ভিডিও লার্নিংও দেখেছি কিভাবে ইন্টারনেটের উপার্জিত টাকা সহজে উত্তোলন করাযায় ! কিন্তু দুঃখে সাথে বলতে হচ্ছে লেখাগুলোর শিরোনাম অনেক সুন্দর + লেখার শুরুটা অনেক হাক-ডাক দিয়ে লেখা থাকলেও শেষের দিকে স্বচ্ছ, সুন্দর, র্নিদিষ্ট, সহজলভ্য কোন উপায় লেখা নেই যা দিয়ে সহজে আমরা টাকা তুলতে পারি । যেমনঃ ধরুন বিকাশ । আমরা দেশের যে প্রান্তে থাকি না কেন বিকাশ থেকে সহজেই টাকাটা তুলতে পারি কোন প্রকার জুট-ঝামেলা ছাড়াই যদি আমরা সচেতন থাকি । আবার ধরুন ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তোলা । আমি ব্যাংক একাউন্ট খুল্লাম আমার টাকা আমি প্রয়োজনে সহজেই টাকা যখন খুশি তুলতে পারবো বুথ থেকেতো রাত তিনটার সময়ও টাকা তুলা যায় তাইনা? যদি এরকম কোন স্বচ্ছ, সহজ লভ্য ও সঠিক পথ থাকে ইন্টারনেটের টাকা তুলার বা সবার মত প্রফেশনাল পোষ্ট না দিয়ে যদি একটা পোষ্ট দিতেন যাতে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়? যাতে সহজে বুঝতে পারি ব্যাংকের টাকার মত । কি কি উপায়ে সহজে টাকা পাবো বা আমার ইন্টারনেট অর্জিত টাকা আমার কাছে এভাবে নিরাপদ থাকবে? ধন্যবাদ ভাই । আপনার লেখাগুলো সত্যিই চমৎকার, বাস্তবমূখী, উপকারী ও বোধগম্য ।
আপনার কি মনে হয় ভাই বিকাশ কি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে???? বাংলাদেশের বাইরেই এর কোন অস্তিত্ব নেই। বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার কোন সিস্টেম এখনো নেই। যাই হোক আপনি যখন কাজ করবেন তখন আশা করি এটা বুঝতে পারবেন। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।